আমাদের সম্পর্কে :
স্বাগতম ! quotamovement2024.com– এ , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪-এর একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতার জন্য ছাত্রদের ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতিফলন, তথ্য প্রচার, এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, যেখানে বৈষম্য, অন্যায়, এবং অসমতা দূর হবে, এবং প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পাবে। আমরা স্বপ্ন দেখি একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যা শিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪ একটি সংগ্রামী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজে বিদ্যমান সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার করে। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা কেবলই জ্ঞানার্জনের মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। আমরা বিশ্বাস করি যে, শিক্ষা- সকলের মৌলিক অধিকার এবং জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, শ্রেণি বা অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত।
আন্দোলনের পটভূমি :
২০২৪ সালের জুন মাসের শুরুতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রথমে এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ছিল, যেখানে ছাত্ররা প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবেশ করে। তবে, ১৫ জুলাই থেকে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়, যখন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়। রড, লাঠি এবং এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্রদের আক্রমণ করা হয়।
১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নেতা আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সরকার এই প্রতিবাদ দমনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ‘শুট অ্যাট সাইট’ কারফিউ জারি করে। তবে, এই দমননীতি উল্টো ফল দেয় এবং আন্দোলন আরও তীব্র হয়।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগের জন্য একটি বৃহত্তর আহ্বান ছিল। ছাত্রদের নেতৃত্বে এই আন্দোলন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, এবং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য :
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তথ্য, ইতিহাস, এবং গুরুত্ব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
- কোটা ব্যবস্থা এবং এর সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষিত করা।
- ছাত্র, শিক্ষক, এবং সমর্থকদের একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করে তাদের মতামত শেয়ার করার সুযোগ দেওয়া।
- ন্যায্য এবং স্বচ্ছ নীতি প্রণয়নের জন্য সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করা।
- শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য দূর করা।
- দরিদ্র ও প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা।
- লিঙ্গসমতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা।
- সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
- ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংহতি গড়ে তোলা।
- শিক্ষানীতি সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে দাবি উত্থাপন।
- শোষণ, হয়রানি ও অনাচারের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা প্রদান।
- বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি :
আমরা এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে মেধা, দক্ষতা, এবং কঠোর পরিশ্রমের ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হবে, এবং কোনো বৈষম্য বা সুবিধাবাদী ব্যবস্থা ব্যক্তির সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করবে না। আমাদের ওয়েবসাইট এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য একটি ক্ষুদ্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কেন এই ওয়েবসাইট ?
আমাদের ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি আন্দোলনের একটি ডিজিটাল আর্কাইভ হিসেবে কাজ করে। এখানে আপনি পাবেন: – আন্দোলনের টাইমলাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী। – ছাত্র নেতাদের মতামত এবং বিবৃতি। – কোটা ব্যবস্থা এবং এর প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্লেষণ। – সমর্থকদের জন্য আলোচনার ফোরাম এবং সম্প্রদায়।
আমরা আশা করি, এই প্ল্যাটফর্মটি আন্দোলনের স্পিরিটকে ধরে রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষণীয় সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।